Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইতিহাস ও কার্যাবলি

পর্যটন একটি বহুমাত্রিক ও দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প। প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে মানুষ ভ্রমণের সহজাত নেশায় দেশ হতে দেশান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছে। গত অর্ধশতক জুড়ে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি ক্রিয়াশীল শক্তি হিসেবে পর্যটনের বিকাশ ঘটেছে এবং পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি অন্যতম বৃহৎ ব—দ্বীপ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ পর্যটন সম্ভাবনাময় দেশ। পৃথিবীর দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্র সৈকত, একক সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত চা বাগান, দিগন্তবিস্তৃত হাওড়—বাঁওড়, ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা, ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসব ও লোক শিল্প, ক্ষুদ্র নৃ—গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি দেশি—বিদেশি পর্যটকদের নিকট বাংলাদেশকে করেছে আকর্ষণীয় ও সম্ভাবনাময় পর্যটন স্থানে। সারাবিশে^র ন্যায় বাংলাদেশ ও কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধনে এই বহুমাত্রিক পর্যটন ও সেবা শিল্প বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারে।  এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, ২০১০ সালে জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ও ২০১৩ সালে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠিত হয়।

 

ট্যুরিস্ট পুলিশের গঠন
পর্যটন শিল্প বিকাশে অন্যতম প্রধান শর্ত ট্যুরিজম সিকিউরিটি। পর্যটন শিল্পকে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার চাদরে আবৃত করে দেশের সমৃদ্ধ অর্জনের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ঘোষণা করে। নীতিমালার ৬.৯ অনুচ্ছেদে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ট্যুরিস্ট স্পটসমূহে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি স্থানভেদে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিসহ প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী নিয়োজিতকরণের কথা উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ট্যুরিজম সিকিউরিটি নিশ্চিতকল্পে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’ নামে বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করা হয়। ৩ জুন ২০২০ খ্রি. তারিখে ট্যুরিস্ট পুলিশের বিধি গেজেট আকারে জারি হয়। বাংলাদেশকে পর্যটকদের জন্য একটি নিরাপদ গন্তব্যে পরিণত করা ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে শুরু থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

 

বর্তমান অফিস ও জনবল
  •  ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ফারইস্ট টাওয়ার, লেভেল ০৮, ০৯ ও ১০ ৩৫, তোপখানা রোড, ঢাকা
  • ৪টি ডিভিশন 
    • ডিভিশন—১ (ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ)
    • ডিভিশন—২ (চট্টগ্রাম বিভাগ)
    • ডিভিশন—৩ (খুলনা ও বরিশাল)
    • ডিভিশন—৪ (রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ)
  • ১১টি রিজিয়ন (ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর রিজিয়ন)
  • ৩৯ টি জোন
  • অপারেশনাল জেলা ৩০টি 
বর্তমান অনুমোদিত জনবল
অতি. আইজিপি ১
ডিআইজি ১
অতি. ডিআইজি ৪
এসপি ১৬
অতি. এসপি ১২
এএসপি ১১
পুলিশ পরিদর্শক ৮৬
এসআই/সার্জেন্ট ২২২
এএসআই ২৮৬
নায়েক ৮০
কনস্টেবল ৫৯২
সিভিল স্টাফ ২০
ক্লিনার ও বাবুর্চি ৬৩
মোট ১৩৯৪
 
অধিক্ষেত্র
ট্যুরিস্ট পুলিশ বিধিমালা, ২০২০—এর প্রবিধি ৬ মোতাবেক অধিক্ষেত্র
(ক) বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন, ২০১০ এর ধারা ৪ ও ৫ মোতাবেক সরকার কতৃর্ক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষিত পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা এবং বিশেষ পর্যটন অঞ্চল
খ) দর্শনীয় স্থান এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্থান বা স্থাপনা
বর্তমান ডিউটি স্পট
  • জেলা ৩২টি 
  • বর্তমানে আয়ত্তাধীন পর্যটন স্পট ১৩২টি
 
ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম
  • ট্যুরিস্টদের শরীর ও সম্পত্তি সম্পর্কিত অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
  • ট্যুরিস্টদের শরীর ও সম্পত্তি সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলার গুণগত তদন্ত নিশ্চিতকরণ
  • পর্যটন স্পটসমূহে আইন—শৃঙ্খলা রক্ষা
  • দেশি—বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদান
  • পর্যটকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ
  • চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইমুক্ত পর্যটন এলাকা নিশ্চিতকরণ
  • ইকো—ট্যুরিজম ও পরিবেশ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান
  • ট্যুরিস্ট স্পটসমূহে পর্যটকদের তাৎক্ষণিক তথ্যসেবা প্রদান এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
  • হ্যালো ট্যুরিস্ট অ্যাপস, ফেসবুক, ওয়েবসাইট, হটলাইনসহ বিভিন্ন প্রচার—প্রচারণার মাধ্যমে পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধি